শিল্পীর চোখে/২

পরিবর্তনটা কিন্তু উপভোগ করেছি

সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়

এর পর একটা বড়সড় পরিবর্তন হল ঠাকুরে আর মন্ডপে। এই পরিবর্তনটার আগে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন হয়েই যাচ্ছিল। তেমন বাবুবাগানের পুজোয় এক ধরনের ঠাকুর হত। এর পর সেই পরিবর্তনের ব্যাপক চেহারা ধরা পড়ল। আমরা বলতাম মেটিরিয়ালিস ঠাকুর। যেমন, পয়সার ঠাকুর, ব্লেডের ঠাকুর , কাঁচের ঠাকুর। আসলে মাটির গায়ে লেপটে দিয়ে ওগুলো করা হত। তারসঙ্গে আবার প্যান্ডেলের যে খুব একটা সামঞ্জস্য থাকতো তা নয়। ঠাকুরটা খুব অ্যাট্রাক্টিভ লাগতো । কিন্তু আস্তে আস্তে এইগুলো বোরিং হয়ে গেল। তারপর শুরু হল বিভিন্ন মন্দিরকে অনুকরণ করে প্যান্ডেল তৈরি করা, যেগুলো অসাধারণ লাগতো। আমি যখন সংবাদ প্রতিদিনে ছিলাম। তখন আমাদের সঙ্গে মুনমুন সেন, টুম্পাই, টুবলাই আমরা সবাই কম বয়সে একসঙ্গে ছিলাম, এটা একটা বিরাট প্রাপ্তি। ওই যে সাধারন মেটেরিয়াল ব্যবহার সুন্দর কাজ করা যায় বলতে গেলে এক কথায় অবিশ্বাস্য। এই চেঞ্জটা হতে হতে নতুনপল্লীতে শুরু হল আমার নিজের থিম মেকিং। যদিও ভাবনা ছিল ওদের। অজন্তা আমার একটা স্বপ্নের জায়গা ছিল। মানে এখনো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি। অজন্তা ইলোরাগুলিকে তো আমি এক্সিক্যুশন করে দিয়েছিলাম। ওটাই ছিল নতুন পল্লীর প্রথম থিম পুজো। যারা যারা ওটা দেখেছেন তাদের মনে হত অজন্তায় চলে এসেছি। কারণ ওইটুকু জায়গার মধ্যে মূর্তিটা, কুমোরটুলি একটা ছেলে নাম ঠিক মনে পড়ছে না ,খুব ভালো কাজ করতো বেশ কয়েকটা জায়গায় কাজও করেছিলো তার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে যেমন আমাদের ভারতীয় মাইথলজিকাল ঠিক অজন্তা ইলোরার যে বৌদ্ধমূর্তি ওই ধরণের প্যাটার্নে তৈরি করলাম। এই রকম আরো কিছু হয়েছে, বিভিন্ন রকমের মন্দির এখনো হচ্ছে। এইটা দেখার ফলে এখন যেহেতু ওই জায়গাগুলিকে ট্রিম করে দিয়েছে যেমন ধরো কোণার্ক-এর পাশে রেলিং দিয়ে তাকে সাজিয়ে দিয়েছে, মহাবলি পুরাম সেটাকেও মনে হচ্ছে এখন ইনস্টলেশন।

Share