শিল্পীর পুজোনামচা/৯

উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে দীপক ঘোষ ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসের কাছাকাছি প্রদীপ রুদ্রপাল আমাকে ফোন করে বলে ‘দীপকদা চক্রবেরিয়া ত্রিকোণ পার্ক এর এ বছরে হীরক জয়ন্তী, আমি ওদের ঠাকুর বানাই। আমার কাছে ভালো কাজ করারও শিল্পী চাইছিল আমি না তোমার নামটাই রেফার করেছি, আর তোমার ফোন নাম্বারটা ওদের দিয়েছি। তুমি...

Continue reading...

সেই সাত দিন

দেবদূত ঘোষঠাকুর আগে বারোয়ারি কিংবা বাড়ির প্রতিমার মুখ খোলা হত ষষ্ঠীর দিনে। কিন্তু এখন তো মহালয়ার আগেই শুনেছি প্রতিমার মুখের আবরণ খুলে দেওয়া হয়। ষষ্ঠী পর্যন্ত অপেক্ষা করে না কোনও বারোয়ারি পুজো কমিটি। চতুর্থীর মধ্যে সবার উদ্বোধন শেষ। এটাই এখন দস্তুর।পুজোআর্চা তো শাস্ত্রীয় মতে শুরু ষষ্ঠী থেকে। তাহলে মহালয়া থেকে...

Continue reading...

ভাস্করের চোখে/৫

থিম কি কম পড়িয়াছে বিমল কুন্ডু টালা বারয়ারিতে একবার অসাধারণ একটা কাজ হয়েছিল মধুবনিকে নিয়ে। সেখানে যে শিল্পী থিম করেছে, তাঁর নিজস্ব ভাবনায় ঠাকুরটা এই জায়গায় এসে পৌঁছেছিল।তবে বিষয়টা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে ঠাকুরের রিপিটেশনও শুরু হয়ে গেছে। যা সব ক্ষেত্রেই হয়।আজকাল দেখছি জবরদস্ত থিম পাওয়া যাচ্ছে না।...

Continue reading...

শিল্পীর পুজোনামচা/৮

বদলে গেল ঘরানাটা দীপক ঘোষ ২০০৪ সালের শেষের দিকে জাহাজে কর্মরত যোধপুর পার্ক শারদীয়া কমিটির কর্ণধার আশিস মুখার্জী ভারতে ফিরে এসে আবার আমাকে আর আমার ডেকোরেটর আত্মীয়কে ডেকে পাঠালেন ওনাদের হয়ে একত্রে কাজ করার জন্য। দাদা বলে সম্বোধন করি তাই আশিসদা কে ফেরাতে পারলাম না রাজি হয়ে গেলাম ওদের হয়ে...

Continue reading...

ভাস্করের চোখে/৪

থিমে কমল ঠাকুরের মান বিমল কুন্ডু এশিয়ান পেন্টস দিয়ে শুরু। তারপর এল আনন্দবাজার পত্রিকা, দ্য টেলিগ্রাফের পুরস্কার। একে একে প্রত্যেক কাগজ কোম্পানিগুলো দিতে শুরু করলো। চ্যানেলগুলিও পিছিয়ে থাকল না। পুরস্কার যত বেড়ে গেল , ততো শিল্পীদের স্বাধীনতা বাড়ল। কারোর যদি কিছু ভাবনা থাকতো , তাকে গবেষণা করার পুরো স্বধীনতা দিত...

Continue reading...

পিতৃপক্ষ ও শুভ-অশুভের দ্বন্দ্ব

দেবদূত ঘোষঠাকুর মহালয়ার দিনটি কি?খুব সাদামাটা ব্যাখ্যা একটা আছে। পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের সন্ধিক্ষণ। কেউ আবার বলেন, অশুভ সময় থেকে শুভ সময়ে পদার্পন। কারণ, পিতৃপক্ষের কোনও শুভ কাজ করা যায়না। তাই এই সময়কালে নতুন কিছু শুরু না করতে বলেন অনেকে। এমনকী যদি কোনও সুসংবাদ পাওয়া যায়, তবে তা পিতৃপক্ষের পরে করা...

Continue reading...

শিল্পীর পুজোনামচা/৭

নেতার পুজোয় হাতে খড়ি দীপক ঘোষ ২০০৩ সালে যোধপুর পার্কের পুজোর পর অপেক্ষা করছিলাম বড় কোনও জায়গায় পুজোর ডাক আসে কিনা তার জন্য। ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে একদিন সন্ধ্যেবেলায় হঠাৎই আমার মোবাইলে ফোন আসে দেবদূতদার। উনি ফোনে আমাকে বলেন ‘দীপক দা আপনার কাছে সুরুচি সংঘের অরূপ বিশ্বাস আসতে...

Continue reading...

ভাস্করের চোখে/৩

আমি বিবর্তনের সাক্ষী বিমল কুন্ডু রমেশ পালের সমসাময়িককালে বনেদিপুজোয় খুব নাম করেছিলেন রাখাল পাল । রাখাল পাল কিন্তু খুব অভিজাত্যে পূর্ণ ঠাকুর করতেন। খুব পাওয়ারফুল ঠাকুর করতেন। প্রতিমার মধ্যে একটা ভারিক্কি চেহারা লুকিয়ে থাকত। এখন কুমোরটুলির বেসিক জিনিস হল, দুই বাংলার দুই আলাদা ঘরানা। এ পার বাংলা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের...

Continue reading...

থার্ড ক্লাস থেকে ফার্স্ট ক্লাস

দেবদূত ঘোষঠাকুর লন্ডনে ভাস্কর্যের এক প্রদর্শনী যাওয়ার সুযোগ পেলেন কলকাতার এক তরুণ মৃৎ শিল্পী। তাঁর কাজ দেখে খুশি হয়ে শিল্পীকে লন্ডনে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন কলকাতার গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের তৎকালীন (১৯২৪) অধ্যক্ষ পার্সি ব্রাউন। ব্রিটিশ সরকারের অতিথি হিসেবে লন্ডনে যাওয়ার জন্য জাহাজে উঠলেন ওই যুবক। সঙ্গে তিনটি ব্যারেলে মাটি। অনেক...

Continue reading...

শিল্পীর পুজোনামচা/৬

সবাইকে ক্ষমা করতে নেই দীপক ঘোষ ২০০২ সালে যোধপুর পার্কে দিলওয়ারা মন্দির বানিয়ে যথেষ্ট সুনাম পেলেও, আমার সাত বছরের ছেলে ও ওর থেকে ছয় মাসের ছোট ওর মামাতো বোনের করুন মুখটা দেখেই ঠিক করেছিলাম, যে না আর ঝগড়া বা জেদাজেদি নয়। তাই ওই ডেকোরেটর আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব মনস্থ...

Continue reading...