ভাস্করের চোখে/৬

সব ছেড়ে এখন বায়োপিক

বিমল কুন্ডু

জগৎ মুখার্জি পার্ক এবছর শঙ্খ ঘোষকে নিয়ে থিম করেছে। এখন যেহেতু স্টোরি পাচ্ছে না, তাই বায়োপিক শুরু হয়ে গেছে। এর জীবনী ওর জীবনে নিয়ে শুরু হয়ে গেছে। এখন কথাটা হচ্ছে কি, শঙ্খ ঘোষের কবিতা থাকবে, গল্প থাকবে চারিদিকে কিন্তু কিভাবে সেগুলির থিমের মধ্যে থাকবে ? পুজোর সঙ্গে কিভাবে রিলেট করবে? শঙ্খ ঘোষের যে কবিতা তার ক’জন পড়বে? এখন যদি আবার অমিতাভ বচ্চনের থিম করত কত মানুষ আবার ঝাঁপিয়ে পড়তো।
থিম একটা এমন একটা ভাবনা চিন্তার বিষয় শেষের দিকে মানুষ ঝুলন সাজানো শুরু করে দিয়েছে। মানে ঝুলনের মত। ওই ট্রেন যাচ্ছে। এদিক দিয়ে যাচ্ছে। ওদিক দিয়ে যাচ্ছে। ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। এই সব। যেমন শেষের দিকে বিস্কুটের ঠাকুরের চা-য়ে বিসর্জনয়দেওয়ার মতো অবস্থা। এক এক জন আসে এক এক জন চলে যায়। প্রাইজ আনতে পারল না, পরের বছর আর এক শিল্পী খুঁজতে লাগলো।
আমিতো আনন্দবাজার প্রথম থেকেই জাজ করি। আমাকে বা সুব্রতকে (গঙ্গোপাধ্যায়) কোনও ভাবেই কেউ ইনফ্লুয়েন্স করতে পারে না। যত বড় সেলিব্রিটিই থাকুক না কেন, তাদেরকে পরিষ্কার বলি, বিমল কুন্ডুয সঙ্গে কনসাল্ট না করে কিছু করা যাবে না। আমি কখনও কোনও ইনফ্লুয়েনসকে প্রশ্রয় দিতাম না। কলকাতা শহরে বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের পুজো হয়। ইনফ্লুয়েন্সের জন্য একে ওকে ফোন করছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাকে একটা ফোনও করেনি। আমি যে কোনও জাজমেন্টে গেছি বড় বড় নেতা থেকে শুরু করে কেউ আমাকে ইনফ্লূয়েন্স করতে পারেনি। পরিষ্কার কথা যেমন ওয়েতে যাবো , যেমন নম্বর দেখব, সেই ভাবেই বিচার করব। আমি তো তাদের বলেছি, যখন সেলিব্রিটির সাথে যাচ্ছে, পাবলিক তার সাথে রিলেশন করছে , সেলফি তুলছে সে ঠাকুর দেখছে। ওরাতো জাজমেন্টের জন্য যায় না, ওদেরকে গ্ল্যামারের জন্য রাখা হয়। সে ক্ষেত্রে হত কি চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ করে জাজ করতাম।

Share