জেদ ও অবিচল থাকার পুরস্কার দীপক ঘোষ যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে ছোটবেলা থেকে শুরু করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পেরেছিলাম। একই বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র তার ওপর বিদেশি ভাষার ওপর অগাধ ভয়, কিন্তু বছর নষ্ট করা যাবে না তাই অন্য স্কুল থেকেই আমাকে আমাকে ১৯৭৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হয়েছিল।...
Continue reading...September 2021
ভাস্করের চোখে/১
পরিবর্তনটা শুরু উত্তরেই বিমল কুন্ডু অশোকদা ওই সময়ে বিরাট বোর্ডের মধ্যে ঠাকুর তৈরি করতেন। মন্ডপ নয়, উনি শুধু ঠাকুর নিয়ে ভাবতেন। সেই পরিবর্তনটা তখন কিন্তু মানুষ গ্রহণ করেনি। অশোকদা প্রথমে ঠাকুর তৈরি করতেন শ্যামবাজার এভি স্কুলের উল্টোদিকে হেলথ কর্ণারের বাঁ দিকে গেটের সামনে একমাস আগে থেকে ঠাকুর গড়তেন। পরবর্তীকালে মাঠে...
Continue reading...শিল্পীর চোখে/৩
কে ভালো, কে মন্দ যে তার…. সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় আমরা যে ছোটবেলাতে ভার্জিন জায়গাগুলিকে দেখিছি কোণার্ক, মহাবলি পুরাম, খাজুরাহ এভরিথিং… সবকটা মন্দিরেই কিন্তু কেয়ারলেস ব্যাপারটা ছিল। তখন ন্যাচারাল নেচারের মধ্যে ছিলো, জিনিসটাকে ট্রিম করা হয়নি, তখন অত সাজানো গোছানো হয়নি, আসলে কম্প্যাক্ট করা হয়নি। তখন তো এবানডান ল্যান্ডে পরে আছে ওই...
Continue reading...শিল্পীর পুজোনামচা/৪
আত্মীয়তা ত্যাগেও পিছ পা হইনি দীপক ঘোষ ওই যে বলেছিলাম ২০০১ সালে আমার কাছে যোধপুর পার্কের কাজ করার আহ্বান এসেছিল! সেই সময় যোধপুর পার্কের পুজোর কর্ণধার ছিলেন সেবু দা (সেবু ঘোষ)। যোধপুর পার্কের দুর্গাপুজোর অত নাম ডাকের প্রাণপুরুষ কিন্তু ছিলেন সেই সেবু দা। আমাকে যখন সেবুদার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল...
Continue reading...শিল্পীর চোখে/২
পরিবর্তনটা কিন্তু উপভোগ করেছি সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় এর পর একটা বড়সড় পরিবর্তন হল ঠাকুরে আর মন্ডপে। এই পরিবর্তনটার আগে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন হয়েই যাচ্ছিল। তেমন বাবুবাগানের পুজোয় এক ধরনের ঠাকুর হত। এর পর সেই পরিবর্তনের ব্যাপক চেহারা ধরা পড়ল। আমরা বলতাম মেটিরিয়ালিস ঠাকুর। যেমন, পয়সার ঠাকুর, ব্লেডের ঠাকুর , কাঁচের ঠাকুর।...
Continue reading...শিল্পীর পুজোনামচা/৩
সার্বজনীন হওয়ার আগে আমি দীপক ঘোষ খেয়াল করে দেখবেন প্রত্যেক পাড়াতেই বিভিন্ন জেনারেশনে কিছু সুবিধাবাদী, অলস ও অনৈতিক মানুষজন থাকে। আমার পাড়ার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রতি পুজোর শেষেই দেনার অঙ্ক বৃদ্ধি পেত। তার কারণ- পুজোর টাকা নয়ছয় করে নিজেরা ফুর্তি করত। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত আমি শুধুমাত্র...
Continue reading...শিল্পীর চোখে/১
অশোকদা মানেই অন্য অনুভূতি সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় আমার পাড়া ছিল তো রাজবল্লবপাড়া! এবং পাশেই কুমোরটুলি। তাই ঠাকুর দেখা, ঠাকুর-এর শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত মূর্তি বানানো, তাকে সাজানো ,তার রঙের যাবতীয় আয়োজন সমস্তটাই দেখেছি অবাক বিষ্ময়ে। মাটি মাখানো থেকে, খড় বাঁধা থেকে প্রতিটি স্তর আমার মাথায় গেঁথে আছে। কত রকমের মাটি...
Continue reading...শিল্পীর পুজোনামচা/২
পাড়ার শিল্পী থেকে থিম শিল্পী দীপক ঘোষ খুঁটি পুজো দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম কারণ খুঁটি পুজো দুর্গাপূজার সূচনা করে। এবার আসি দুর্গাপুজোর সম্বন্ধে আমার অতীত ও বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি কি তা শেয়ার করার জন্য।ছেলেবেলার মন ভীষণভাবে রঙিন, তাতে যতখুশি রঙের প্রলেপ দাও না কেন এর অন্ত নেই, কারণ সেই মন ছিল...
Continue reading...শিল্পীর পুজোনামচা/১
খুঁটি পুজোর খুটিনাটি দীপক ঘোষ এখন প্রায় সারা বাংলার বারোয়ারির পুজোতে (তা দুর্গাপূজা হোক বা যে কোনও মূর্তি পুজো) খুঁটি পুজো ও একটা প্রারম্ভিক উৎসবে পরিণত হয়েছে! মানুষ একটু আনন্দ খুঁজে নিতে সদাই তৎপর। এতে দোষ দেখি না। সাধারণের কাছে এই খুঁটি পুজোর উপাদান হ’লো – একটি বিশেষ ছুটির দিন...
Continue reading...